ঢাকা ০২:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
কোটা সংস্কার আন্দোলন

মিথ্যা মামলায় ১৬ বছরের স্কুল শিক্ষার্থীর কারাবাস

ছবি: ক্যাম্পাস প্রতিদিন

ঢাকা: রংপুর পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজের ১৬ বছর বয়সী শিক্ষার্থী আলফি শাহরিয়ার মাহিমকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বেলা পৌনে ১টায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত-১ এর বিচারক মোস্তফা কামাল তার জামিন আদেশ মঞ্জুর করেন। এরপর বিকেল ৫টা ১৮ মিনিটে মাহিম কারাগার থেকে মুক্তি পায়।

মুক্তির পর মাহিম জানান, “টিয়ার শেলে আহত হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ি। জ্ঞান ফিরে পাওয়ার পর দেখি তাজহাট থানায়। আমার হাত উল্টো করে হ্যান্ডকাফ দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছিল। পুলিশকে বলেছিলাম, আমি পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র, তারপরও আমাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।”

মাহিম কাঁদতে কাঁদতে মা-বাবা ও স্বজনদের জড়িয়ে ধরেন। তিনি আরও বলেন, “টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছোড়া হয়েছিল। আমি একাই পড়ে গেছিলাম এবং অজ্ঞান হয়ে পড়ি। পরে আমাকে ধরে তাজহাট থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। আমার হাতে হ্যান্ডক্যাপ লাগানো ছিল। কলেজ ড্রেস, স্কুল ব্যাগ এবং আইডি কার্ড তখন তাজহাট থানায় ছিল।”

আসামিপক্ষের আইনজীবী জোবাইদুল হক বলেন, “মিথ্যা মামলায় ১৬ বছর ১০ মাসের ছাত্র মাহিমকে পুলিশ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বয়স ১৯ বছর দেখিয়ে আদালতে তোলেছিল। বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে প্রমাণ দিয়ে মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি আদালত থেকে মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে নিয়ে আসি। আদালত ৪ আগস্ট শুনানির দিন ধার্য করেছে। গণমাধ্যমে বিষয়টি আসায় মাহিমকে জামিন দেওয়া হয়েছে। পুলিশ দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেয়নি।”

উল্লেখ্য, গত ১৯ জুলাই রংপুর জেলা পুলিশ পরিচালিত পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী আলফি শাহরিয়ার মাহিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১৬ জুলাই রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পুলিশের গুলিতে বেরোবি শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহত হন। সেই মামলায় পুলিশ এসআই বিভূতিভূষণ বাদী হয়ে মাহিমকে ১৯ বছর বয়স দেখিয়ে গ্রেপ্তার করে।

শেয়ার করুন
জনপ্রিয়

কোটা সংস্কার আন্দোলন

মিথ্যা মামলায় ১৬ বছরের স্কুল শিক্ষার্থীর কারাবাস

আপডেট : ০৭:০৫:০০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ অগাস্ট ২০২৪

ঢাকা: রংপুর পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজের ১৬ বছর বয়সী শিক্ষার্থী আলফি শাহরিয়ার মাহিমকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বেলা পৌনে ১টায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত-১ এর বিচারক মোস্তফা কামাল তার জামিন আদেশ মঞ্জুর করেন। এরপর বিকেল ৫টা ১৮ মিনিটে মাহিম কারাগার থেকে মুক্তি পায়।

মুক্তির পর মাহিম জানান, “টিয়ার শেলে আহত হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ি। জ্ঞান ফিরে পাওয়ার পর দেখি তাজহাট থানায়। আমার হাত উল্টো করে হ্যান্ডকাফ দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছিল। পুলিশকে বলেছিলাম, আমি পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র, তারপরও আমাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।”

মাহিম কাঁদতে কাঁদতে মা-বাবা ও স্বজনদের জড়িয়ে ধরেন। তিনি আরও বলেন, “টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছোড়া হয়েছিল। আমি একাই পড়ে গেছিলাম এবং অজ্ঞান হয়ে পড়ি। পরে আমাকে ধরে তাজহাট থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। আমার হাতে হ্যান্ডক্যাপ লাগানো ছিল। কলেজ ড্রেস, স্কুল ব্যাগ এবং আইডি কার্ড তখন তাজহাট থানায় ছিল।”

আসামিপক্ষের আইনজীবী জোবাইদুল হক বলেন, “মিথ্যা মামলায় ১৬ বছর ১০ মাসের ছাত্র মাহিমকে পুলিশ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বয়স ১৯ বছর দেখিয়ে আদালতে তোলেছিল। বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে প্রমাণ দিয়ে মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি আদালত থেকে মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে নিয়ে আসি। আদালত ৪ আগস্ট শুনানির দিন ধার্য করেছে। গণমাধ্যমে বিষয়টি আসায় মাহিমকে জামিন দেওয়া হয়েছে। পুলিশ দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেয়নি।”

উল্লেখ্য, গত ১৯ জুলাই রংপুর জেলা পুলিশ পরিচালিত পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী আলফি শাহরিয়ার মাহিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১৬ জুলাই রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পুলিশের গুলিতে বেরোবি শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহত হন। সেই মামলায় পুলিশ এসআই বিভূতিভূষণ বাদী হয়ে মাহিমকে ১৯ বছর বয়স দেখিয়ে গ্রেপ্তার করে।

শেয়ার করুন