ঢাকা: সরকার পতনের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ কর্মসূচির প্রথম দিনে দেশজুড়ে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।
রবিবার (৪ আগস্ট) রাত পৌনে আটটার মধ্যে ১৪ পুলিশ সদস্যসহ ৭২ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
নিহতদের মধ্যে আন্দোলনকারী, শিক্ষার্থী, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষ রয়েছেন। আহত হয়েছেন অসংখ্য মানুষ।
থানা, হাসপাতাল, আদালত, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক দলের কার্যালয় এবং পুলিশের গাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
রবিবার (৪ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ শুরু করেন। পুলিশের বাধা না থাকলেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সড়কে অবস্থান নেন। এতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
সিরাজগঞ্জে এনায়েতপুর থানায় ১৩ পুলিশ সদস্য ও কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানায় একজন পুলিশ সদস্য নিহত হন।
প্রথম আলো সূত্রে জানা যায়, নিহতদের মধ্যে নরসিংদীতে ৬ জন, ফেনীতে ৫ জন, সিরাজগঞ্জে ২২ জন, কিশোরগঞ্জে ৪ জন, ঢাকায় ৪ জন, বগুড়ায় ৪ জন, মুন্সিগঞ্জে ৩ জন, মাগুরায় ৪ জন, ভোলায় ৩ জন, রংপুরে ৪ জন, পাবনায় ৩ জন, সিলেটে ৪ জন, কুমিল্লায় ৩ জন, জয়পুরহাটে ১ জন, হবিগঞ্জে ১ জন এবং বরিশালে ১ জন।
সরকার সহিংস পরিস্থিতির কারণে সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত তিন দিন নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে। রবিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সারাদেশে কারফিউ জারি করা হয়েছে।