ঢাকা ০১:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তাকেই হাল ধরতে হবে

ইতিহাসের দায় এড়াতে পারেন না সোহেল তাজ

ঢাকা: বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত জনমত আর মুক্তিযুদ্ধের আবেগকে ব্যবহার করে একটি নির্দিষ্ট পরিবারের কর্তৃত্ব ফলাতে গিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মত একটি প্রাচীন ও বৃহৎ রাজনৈতিক দল আজ চূড়ান্ত বিপর্যস্ত।

পনেরটি বছর ধরে বিরোধী দল দমনের পাশাপাশি শেখ পরিবারের বিরোধিতা কিংবা প্রতিদ্বন্দ্বী হবার যোগ্য ব্যক্তি ও কর্মীদেরকে দলছাড়া করা হয়েছে নিকৃষ্ট পদ্ধতিতে।

জ্বি, বঙ্গবন্ধুর কন্যা হিসেবে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা আমাদের কাছে আমানতস্বরূপ। কিন্তু তাদেরকে উপরে তুলতে তুলতে ঈশ্বরের স্থানে তুলে দিয়ে ক্ষতিটা কার হল? দেশ ও দল চূড়ান্ত ক্ষতিগ্রস্ত!

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িটি যখন পুড়ছিল, আমি গত দেড় দশকের কোনো বিপ্লবী সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে প্রতিবাদ করতে দেখলাম না! বরং সবাই জান নিয়ে পালাচ্ছে! লেবু অতিরিক্ত কচলালে তিতা লাগে। শেখ হাসিনাকে ঈশ্বর বানাতে গিয়ে এদেশের তারুণ্যের কাছে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ আর বাংলাদেশকে হাসির খোরাকে পরিণত করা হয়েছে।

আওয়ামীলীগের নেতারা পালিয়েছেন। শেখ পরিবারও পালিয়েছে। এটিই ধ্রুব সত্য। ইতিহাসের নির্মম লজ্জা।

কিন্তু আওয়ামীলীগের কর্মীরা পালিয়ে যায় নি। আওয়ামীলীগের ভোটব্যাংক বিলুপ্ত হয়নি। আওয়ামীলীগের গঠনতান্ত্রিক আদর্শ তথা বাঙালি জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র ও গণতন্ত্র বিলুপ্ত হয়ে যায়নি। এই ভূখন্ডে এখানো কোটি কোটি আওয়ামী সমর্থক ঠাঁই দাঁড়িয়ে আছেন। প্রতিকূল পরিবেশে মার খেয়েও তারা টিকে থাকবেন।

একাত্তরে বঙ্গবন্ধু জেলে গেলেন। হাল ধরলেন তাজউদ্দীন আহমেদ। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু নিহত হলেন। জাতীয় চার নেতা নিহত হলেন। হাল ধরলেন জোহরা তাজউদ্দীন। ওয়ান ইলেভেনে শেখ হাসিনা গ্রেফতার হলেন। হাল ধরলেন জিল্লুর রহমান ও সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।

চব্বিশে শেখ হাসিনা তার পরিবার ও তোষামোদি গ্রুপ নিয়ে পালিয়েছেন। সোহেল তাজ আছেন। কর্মীদের এমনকি বিরোধী মতাদর্শের কাছেও তার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। ইতিহাসের দায় সোহেল তাজ এড়িয়ে যেতে পারেন না। তাকেই হাল ধরতে হবে। সোহেল তাজ ও তারুণ্যের স্বপ্ন যখন একসূত্রে গাঁথা, তাহলে আর কোনো বাধা দেখি না!

বঙ্গতাজের পুত্র হিসেবে তাকেই ধরতে হবে হাল…

লেখক: উদ্যোক্তা ও সংগঠক

শেয়ার করুন
সংযুক্তি:
জনপ্রিয়

তাকেই হাল ধরতে হবে

ইতিহাসের দায় এড়াতে পারেন না সোহেল তাজ

আপডেট : ১২:৫৭:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ অগাস্ট ২০২৪

ঢাকা: বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত জনমত আর মুক্তিযুদ্ধের আবেগকে ব্যবহার করে একটি নির্দিষ্ট পরিবারের কর্তৃত্ব ফলাতে গিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মত একটি প্রাচীন ও বৃহৎ রাজনৈতিক দল আজ চূড়ান্ত বিপর্যস্ত।

পনেরটি বছর ধরে বিরোধী দল দমনের পাশাপাশি শেখ পরিবারের বিরোধিতা কিংবা প্রতিদ্বন্দ্বী হবার যোগ্য ব্যক্তি ও কর্মীদেরকে দলছাড়া করা হয়েছে নিকৃষ্ট পদ্ধতিতে।

জ্বি, বঙ্গবন্ধুর কন্যা হিসেবে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা আমাদের কাছে আমানতস্বরূপ। কিন্তু তাদেরকে উপরে তুলতে তুলতে ঈশ্বরের স্থানে তুলে দিয়ে ক্ষতিটা কার হল? দেশ ও দল চূড়ান্ত ক্ষতিগ্রস্ত!

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িটি যখন পুড়ছিল, আমি গত দেড় দশকের কোনো বিপ্লবী সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে প্রতিবাদ করতে দেখলাম না! বরং সবাই জান নিয়ে পালাচ্ছে! লেবু অতিরিক্ত কচলালে তিতা লাগে। শেখ হাসিনাকে ঈশ্বর বানাতে গিয়ে এদেশের তারুণ্যের কাছে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ আর বাংলাদেশকে হাসির খোরাকে পরিণত করা হয়েছে।

আওয়ামীলীগের নেতারা পালিয়েছেন। শেখ পরিবারও পালিয়েছে। এটিই ধ্রুব সত্য। ইতিহাসের নির্মম লজ্জা।

কিন্তু আওয়ামীলীগের কর্মীরা পালিয়ে যায় নি। আওয়ামীলীগের ভোটব্যাংক বিলুপ্ত হয়নি। আওয়ামীলীগের গঠনতান্ত্রিক আদর্শ তথা বাঙালি জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র ও গণতন্ত্র বিলুপ্ত হয়ে যায়নি। এই ভূখন্ডে এখানো কোটি কোটি আওয়ামী সমর্থক ঠাঁই দাঁড়িয়ে আছেন। প্রতিকূল পরিবেশে মার খেয়েও তারা টিকে থাকবেন।

একাত্তরে বঙ্গবন্ধু জেলে গেলেন। হাল ধরলেন তাজউদ্দীন আহমেদ। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু নিহত হলেন। জাতীয় চার নেতা নিহত হলেন। হাল ধরলেন জোহরা তাজউদ্দীন। ওয়ান ইলেভেনে শেখ হাসিনা গ্রেফতার হলেন। হাল ধরলেন জিল্লুর রহমান ও সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।

চব্বিশে শেখ হাসিনা তার পরিবার ও তোষামোদি গ্রুপ নিয়ে পালিয়েছেন। সোহেল তাজ আছেন। কর্মীদের এমনকি বিরোধী মতাদর্শের কাছেও তার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। ইতিহাসের দায় সোহেল তাজ এড়িয়ে যেতে পারেন না। তাকেই হাল ধরতে হবে। সোহেল তাজ ও তারুণ্যের স্বপ্ন যখন একসূত্রে গাঁথা, তাহলে আর কোনো বাধা দেখি না!

বঙ্গতাজের পুত্র হিসেবে তাকেই ধরতে হবে হাল…

লেখক: উদ্যোক্তা ও সংগঠক

শেয়ার করুন