ঢাকা ০২:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
কোটা সংস্কার আন্দোলন: ছয় সমন্বয়কের যৌথ বিবৃতি

স্বেচ্ছায় বিবৃতি দেননি সমন্বয়করা, জোর করে খাবারের ভিডিও

গ্রাফিক্স: ক্যাম্পাস প্রতিদিন

ঢাকা: ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে গতকাল বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) ছেড়ে দিয়েছে। আজ শুক্রবার (২ আগস্ট) ডিবি অফিসে আটক থাকার বিষয়ে মুখ খুলেছেন এই ছয় সমন্বয়ক।

তারা অভিযোগ করেন, চলমান আন্দোলন প্রত্যাহার নিয়ে ডিবি অফিসে বসে তারা কেউ স্বেচ্ছায় ভিডিও স্টেটমেন্ট দেননি। ডিবিপ্রধানের সঙ্গে খাবার টেবিলে বসিয়ে জোর করে ভিডিও করা হয় বলেও অভিযোগ তাদের।

ছয় সমন্বয়ক হলেন মো. নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহ, আসিফ মাহমুদ, নুসরাত তাবাসসুম ও আবু বাকের মজুমদার। জানা যায়, গত ২৬ জুলাই থেকে তাদেরকে বিভিন্ন স্থান থেকে তুলে নিয়ে আসা হয়।

বিবৃতিতে তারা জানান, আন্দোলন ও নেতৃত্বকে ছত্রভঙ্গ করতেই তাদের গুম, গ্রেফতার, নির্যাতন ও হয়রানি করা হয়েছে। ডিবি হেফাজতে আটকে রাখার উদ্দেশ্য ছিল আন্দোলন থেকে বিচ্ছিন্ন রাখা।

তারা বলেন, “আমরা গুম, গ্রেফতার ও নির্যাতন থেকে নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তা চেয়েছিলাম; মত প্রকাশের অধিকারের নিশ্চয়তা চেয়েছিলাম। কিন্তু ডিবি হেফাজতে আটকে রাখা হয়।”

ছয় সমন্বয়ক দাবি করেন, তাদের জোর করে ভিডিও করা হয়েছে এবং আন্দোলন প্রত্যাহার করার স্টেটমেন্ট স্বেচ্ছায় দেওয়া হয়নি।

তারা আরও বলেন, অন্যায়ভাবে আটক, সারাদেশে শিক্ষার্থীদের গ্রেফতার ও নির্যাতনের প্রতিবাদে ৩০ জুলাই থেকে অনশন শুরু করেন। পরবর্তীতে ৩২ ঘণ্টারও অধিক সময় অনশনের পর ডিবি প্রধান মুক্তির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিলে অনশন ভাঙা হয়।

বিবৃতিতে তারা সরকারের মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ও দমন-পীড়নকে তোয়াক্কা না করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।

শেয়ার করুন
জনপ্রিয়

কোটা সংস্কার আন্দোলন: ছয় সমন্বয়কের যৌথ বিবৃতি

স্বেচ্ছায় বিবৃতি দেননি সমন্বয়করা, জোর করে খাবারের ভিডিও

আপডেট : ১১:০১:০০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ অগাস্ট ২০২৪

ঢাকা: ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে গতকাল বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) ছেড়ে দিয়েছে। আজ শুক্রবার (২ আগস্ট) ডিবি অফিসে আটক থাকার বিষয়ে মুখ খুলেছেন এই ছয় সমন্বয়ক।

তারা অভিযোগ করেন, চলমান আন্দোলন প্রত্যাহার নিয়ে ডিবি অফিসে বসে তারা কেউ স্বেচ্ছায় ভিডিও স্টেটমেন্ট দেননি। ডিবিপ্রধানের সঙ্গে খাবার টেবিলে বসিয়ে জোর করে ভিডিও করা হয় বলেও অভিযোগ তাদের।

ছয় সমন্বয়ক হলেন মো. নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহ, আসিফ মাহমুদ, নুসরাত তাবাসসুম ও আবু বাকের মজুমদার। জানা যায়, গত ২৬ জুলাই থেকে তাদেরকে বিভিন্ন স্থান থেকে তুলে নিয়ে আসা হয়।

বিবৃতিতে তারা জানান, আন্দোলন ও নেতৃত্বকে ছত্রভঙ্গ করতেই তাদের গুম, গ্রেফতার, নির্যাতন ও হয়রানি করা হয়েছে। ডিবি হেফাজতে আটকে রাখার উদ্দেশ্য ছিল আন্দোলন থেকে বিচ্ছিন্ন রাখা।

তারা বলেন, “আমরা গুম, গ্রেফতার ও নির্যাতন থেকে নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তা চেয়েছিলাম; মত প্রকাশের অধিকারের নিশ্চয়তা চেয়েছিলাম। কিন্তু ডিবি হেফাজতে আটকে রাখা হয়।”

ছয় সমন্বয়ক দাবি করেন, তাদের জোর করে ভিডিও করা হয়েছে এবং আন্দোলন প্রত্যাহার করার স্টেটমেন্ট স্বেচ্ছায় দেওয়া হয়নি।

তারা আরও বলেন, অন্যায়ভাবে আটক, সারাদেশে শিক্ষার্থীদের গ্রেফতার ও নির্যাতনের প্রতিবাদে ৩০ জুলাই থেকে অনশন শুরু করেন। পরবর্তীতে ৩২ ঘণ্টারও অধিক সময় অনশনের পর ডিবি প্রধান মুক্তির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিলে অনশন ভাঙা হয়।

বিবৃতিতে তারা সরকারের মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ও দমন-পীড়নকে তোয়াক্কা না করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।

শেয়ার করুন