ঢাকা: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেছেন, প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের জন্য রয়েছে একটি আলাদা বিধিমালা, যা প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯ নামে পরিচিত। এটি প্রজ্ঞাপন নয়, বিধিমালা। বিধিমালার পরে প্রজ্ঞাপন, প্রজ্ঞাপনের পরে অফিস আদেশ আসে।
বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে ফরিদ আহাম্মদ জানান, বর্তমান কোটা প্রজ্ঞাপন প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ বিধিমালার সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়। নিয়োগ বিধিমালাতে ৬০:২০ বিভাজনের কথা বলা হয়েছে এবং কোটা সংক্রান্ত নতুন প্রজ্ঞাপন অনুসরণ করা হবে। নিয়োগ কার্যক্রমে কোনো বিভ্রান্তি দেখা দিলে জনপ্রশাসন ও আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত নেওয়া হবে।
সম্প্রতি, সরকারি চাকরির সব গ্রেডে ৭ শতাংশ কোটা কার্যকরের নতুন সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে। তবে কিছু দপ্তরের আলাদা নিয়োগ বিধির কারণে বিশেষ কোটা এখনও কার্যকর রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদের নিয়োগে ৬০ শতাংশ নারী কোটা এবং বাংলাদেশ রেলওয়েতে ৩০ শতাংশ পোষ্য কোটা রয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরিতে নতুন কোটা নির্ধারণ করা হয়েছে: মেধাভিত্তিক ৯৩ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য ১ শতাংশ এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ শতাংশ। নির্ধারিত কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে সাধারণ মেধাতালিকা থেকে পদ পূরণ করা হবে।
এছাড়া, ২০১৮ সালে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা পুরোনো সব পরিপত্র, প্রজ্ঞাপন, আদেশ বাতিল করা হয়েছে। নতুন আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।